ইউনিভার্সিটির সামনের একটা মিউজিয়াম এর বাইরে বসে আমরা-
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
পুরোনো ফোনের ফটো গ্যালারী ঘাটতে ঘাটতে আজ বর্ধমানের দিনগুলোকে ভীষণ মিস করছিলাম।মুহুর্তের মধ্যে অনেকগুলো বছর পিছিয়ে গেলাম। সেই ২০১০ সাল, যখন এম. এ করার জন্য প্রথম বর্ধমান গেলাম ছোটদির সাথে। তারপর থেকে ২ বছরে বেশ কয়েকবার ওখানে যাওয়া হয়েছে,৬মাস বাদে বাদে গিয়ে ক্লাস করার জন্য এক সপ্তাহ করে থাকতাম।
পিছনের সাদা বিল্ডিংটা আমাদের ইউনিভার্সিটি -
দিনগুলো যে কি ভালো ছিলো সেটা হয়তো তখনও এতো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি যতটা এখন পারি। কথায় আছে, যে দিন যায় সেটাই ভালো একদমই তাই, আমরা শুধু ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করি, আর বর্তমান আমাদের সেই চিন্তায় কেটে যায়।সময় ফুরালে তখন আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
ওই ২ বছর যে কিভাবে কেটে গেলো সেটা বুঝতেও পারিনি। খুব মজা করতাম আমরা। ক্লাস নিয়মিত করতাম যদিও, ক্লাস এর পর আশেপাশের পার্কে যেতাম। দু এক দিন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে রুমে ফিরতাম। সন্ধ্যার আগে আমাদের ফিরতেই হতো, এটা ওই হোস্টেল এর নিয়ম ছিল যেখানে আমরা থাকতাম।
ইউনিভার্সিটি যাওয়ায় আগে সাজুগুজু চলছে, হোস্টেলের এই রুমেই আমরা থাকতাম -
পার্কে দাড়িয়ে (জুয়েলি,প্রিয়াংকা,আমি)-
বহু বছর আগের একটি গাছের জীবাশ্ম-
প্রথমবার দীপার মা আমাদের সাথে গিয়ে ওখানে ছিলেন,পরের বার থেকে আমরা নিজেরাই গিয়েছিলাম। আমাদের ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনটাও বেশ ভালো ছিলো, ওখানকার পরোটা আমরা প্রায় প্রতিদিন টিফিনে খেতাম। লাস্ট যে বার রেজাল্ট আনতে গিয়েছিলাম সেবারও খেয়েছিলাম। আর গেটের বাইরে ফুচকা খেতে দারুন লাগতো, ওখানকার স্পেশাল ছিলো ঘুগনি ফুচকা, ওটা আমি একদমই ভালো খেতাম না, ওটা জুয়েলির খুব প্রিয় ছিল।
প্রথমদিন ইউনিভার্সিটি যাওয়ায় সময় সাথে কাকীমা (দীপার মা), ছবিটি তুলেছি আমি-
ফাইনাল পরীক্ষা দিতেই সবাই একসাথে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে এখনো কোনোদিন সবাই এক জায়গায় হতে পারিনি। সবার সাথে দেখা হয়েছে তবে একসাথে হয়নি কখোনো। রেজাল্ট ও যে যার সময় মতো গিয়ে নিয়ে এসেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন কি অদ্ভুত তাই না? ওই ২ বছর যখন একসাথে থাকতাম মনে হতো যেনো ওদের ছেড়ে থাকতেই পারবো না,ওই সম্পর্কের কোনোদিন পরিবর্তন হবে না, অথচ আজ কতগুলো বছর হয়ে গেলো দেখা পর্যন্ত হয়না। দিব্যি বেঁচে আছি, ব্যস্ততায় ওদের মনে করার জন্যও কখোনো কখোনো সময় পাইনা, ফোন করা তো দূরে থাক।এইজন্যই সবাই বলে আজ টাকে উপভোগ করতে হয়, কাল কি হবে কে জানে।
কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশাকরি ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, শুভরাত্রি।